পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীতে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপরাধের খবর আসেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির সদর দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় সোয়া কোটি মানুষ গ্রামের বাড়িতে গেছেন। তাদের বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ডিএমপির কাঁধে। পুলিশ সেই দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে। ফাঁকা ঢাকায় এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপরাধের খবর আসেনি।  

তিনি বলেন, ডিএমপি টিম হিসেবে কাজ করে। ঈদের ছুটিতে খুব অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য ছুটিতে গেছেন, অধিকাংশই যেতে পারেননি। এটা পুলিশের চাকরির বৈশিষ্ট্য। এইটুকু ত্যাগ আমাদের করতে হবে। 

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ৩৪ হাজার ফোর্সের ত্যাগের বিনিময়ে ঢাকা মহানগরীর দুই কোটি মানুষ আরামে ঘুমাতে পারেন। পরিবার-পরিজন নিশ্চিন্তে বাসায় রেখে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও অফিস-আদালত করতে পারেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রমজানে প্রচণ্ড তাপ ছিল। যেখানে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলে শরীরের রক্ত ঘাম হয়ে যায়, সেখানে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করেছেন, এটাই হলো পুলিশের ত্যাগ।

তিনি আরও বলেন, মানবতার চেয়ে বড় ধর্ম পৃথিবীতে নেই। সম্প্রতি ঢাকায় নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগলে পুলিশ সদস্যরা তিন-চার তলা থেকে বড় বড় কাপড়ের বস্তা মাথায় করে নিচে নিয়ে আসেন। সারাদেশের মানুষ পুলিশের এই কাজের প্রশংসা করেছে। এমন সুযোগ বারবার আসে না, এগুলো মনে রাখতে হবে। আবার দুই-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর বদনাম হয়। এই খারাপ কাজের দায়িত্ব পুলিশ বাহিনী নেবে না। এজন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।