স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইতালি থেকে যারা এসেছেন এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন। তবে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আজ শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ সকালে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন ইতালির রোমে থেকে আসা ১৪২ বাংলাদেশি। বিমানবন্দর থেকেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনার হজ ক্যাম্পে। সেখানে তাদের কোয়ারেনটাইনে রাখার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

পরে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আসছে, সবাই সুস্থ আছেন। কেউ অসুস্থ নাই। সেভাবে আমরা পাইনি। তাদের হজক্যাম্পে নিয়ে রেখেছি। সেখানে রেখে তাদের পরীক্ষা করব। তারা সংক্রমিত কি না, দেখব। আমরা জেনেছি তারা অনেকে সার্টিফেকট নিয়ে এসেছে। তারা সেখানেও কোয়ারেনটাইনে ছিল। যদি দেখি সবাই সুস্থ সেক্ষেত্রে তাদের হোম কোয়ারেনটাইনে রাখব।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল তাদের মধ্যে দুইজনের শরীরে এই ভাইরাস নেই। তৃতীয়জনের রিপোর্টও নেগেটিভ। আমরা আস্তে আস্তে তাদের ছেড়ে দেব।

তিনি আরো বলেন, ইউরোপের মধ্যে করোনাভাইরাস ইতালিতে যেহেতু বেশি ছড়িয়েছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখান থেকে যারাই আসবে তারা কোয়ারেনটাইনে  থাকবে। প্রথমে তারা বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনে থাকবে, পরে হোম কোয়ারেনটাইনে  থাকবে। ইতালি থেকে আরো বাংলাদেশি আসছে বলে দেশে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৪২ জন সেখানে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি কোথা থেকে এসেছে। অনেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। আজ বিকেলে আরো ৩৪ জন আসবে। আগামীকাল ১৫৫ জন আসার কথা শুনেছি।

এদিকে সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জেলায় হাসপাতাল ও ডাক্তার রেডি রাখা হয়েছে। জেলা উপজেলার কমিটিগুলোও খুব তৎপর। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধে (কোয়ারেনটাইনে) রাখা হয়েছে। কেউ গোপন করলে তথ্য গোপন আইন প্রয়োগ হবে। সেখানে জেল জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার বেশ কিছু লোক এসেছে। যার মধ্যে ইতালি থেকে আসা যাত্রীও ছিল। তাদের স্থানীয়ভাবে সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে।  আগামীকাল রবিবার (১৫ মার্চ) আরো ১৫০ জনের ইতালি থেকে আসার কথা এবং আজ বিকেলেও কিছু আসবে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশ কি ঝুঁকির মধ্যে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই মাসে করোনা প্রতিরোধে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি সে ব্যবস্থা কোনো দেশ নেয়নি। কোন জেলায় কতজন কোয়ারেনটাইন হচ্ছে, কিভাবে তারা আছে প্রতিটি নিউজ আমাদের কাছে আছে। করোনাভাইরাস যেখানে আছে সেখানে তো একটু ঝুঁকি থাকেই।