Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ১৯:২৮

রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

রাজধানীর নিউমার্কেটের বিপরীতের অবস্থিত গাউছিয়া সুপার মার্কেট। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেটের বিপরীতের অবস্থিত গাউছিয়া সুপার মার্কেটকে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস ৷ পাশাপাশি মার্কেট নিরাপদ করতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ ২০টি সুপারিশ করেছে পরিদর্শক দল।

আজ রবিবার (২১ মে) ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) সমন্বিত পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে, গত ৬ এপ্রিল পরিদর্শন শেষে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা গাউছিয়া মার্কেট সমন্বিতভাবে পরিদর্শন করেছি। আগেও এখানে পরিদর্শনের পর যেসব সুপারিশ দিয়েছিলাম তার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে এখনো বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, পরিদর্শন শেষে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির ঘাটতি পূরণসহ মোট ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করার জন্য মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে। 

অগ্নিনিরাপত্তা (ফায়ার সেফটি) নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ২০টি সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রীয় ৪ সংস্থা। সেগুলো হলো- এক্সিট সাইন/ইমারজেন্সি লাইট জরুরিভাবে সিঁড়ির পার্শ্বে স্থাপন করা। জরুরি ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন। কল পয়েন্ট সুইচ স্থাপন করতে হবে। ফায়ার এলার্ম বেল স্থাপন করা।

ফায়ার পাম্প স্থাপন ও সেটা আন্ডারগ্রাউন্ড পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতি ফ্লোরের জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা (রাইজারসহ) স্থাপন করতে হবে।

ফ্লোরভিত্তিক ডেলিভারি হোজপাইপ স্থাপন করতে হবে (২.৫ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট)। প্রয়োজন অনুযায়ী পানির রিজার্ভার (আন্ডারগ্রাউন্ড) ট্যাংক বাড়াতে হবে।

প্রতিটা ফ্লোরের জন্য পি এ সিস্টেম স্থাপন করতে হবে। সাব-স্টেশন ও জেনারেটর রুমের জন্য ফায়ার ডোর স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফায়ার এক্সটিংগুইসার (প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে) স্থাপন করতে হবে। ছাদের দরজা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফায়ার রেটেড ওয়াল (সাব স্টেশন রুমে এবং জেনারেটর রুমে) স্থাপন করতে হবে এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেনারেটর এবং সাব-স্টেশন রুমের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা (ফায়ার সাফ্রেশন সিস্টেম) স্থাপন করতে হবে, রাবার মেট স্থাপন করতে হবে এবং ক্যাবলগুলোর আর্থিং নিশ্চিত করতে হবে। করিডোর, চলাচলের পথ পরিষ্কার/বাঁধামুক্ত রাখতে হবে এবং সিড়িপথের দোকানগুলো অপসারণ করতে হবে। 

বৈদ্যুতিক লাইনসমূহ অনুমোদিত ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাঝে মাঝে চেক (পরীক্ষা) করতে হবে এবং বৈদ্যুতিক তারগুলো নির্দিষ্ট চ্যানেল বোর্ডের ভেতর দিয়ে নিতে হবে।

ইলেকট্রিক হিটার, ইলেকট্রিক ওভেন, কফিশপের দোকানগুলোর ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভবনের সকল প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে। 

এই নির্দেশনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদন করে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সুপারিশ ও অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বাবু বলেন, আমরা সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে দ্রুতই বাস্তবায়ন করব। যে কোন মার্কেটের তুলনায় আমার মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫