
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে সংসদে একটি বিল উঠেছে। এ বিলে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমছে।
বর্তমান আইনে অনিয়ম বা বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধ করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষমতা সীমিত করে শুধু ভোটের দিন ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের কোনো আসনের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসনের ভোটের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) কেন্দ্রের ভোট স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা পাচ্ছে ইসি।
এসব বিধান রেখে ‘রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২’ অধিকতর সংশোধনকল্পে একটি বিল সোমবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে আইনমন্ত্রী বিলটি সংসদে তোলেন। বিলটি পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১(এ) ধারায় বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশন যদি সন্তুষ্ট হয় যে নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না, তাহলে যেকোনো ভোট কেন্দ্র বা ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।’
ইসিকে পুরো আসনের ফল স্থগিত বা বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যেসব ভোট কেন্দ্রে (এক বা একাধিক) অভিযোগ থাকবে ইসি শুধু সেসব কেন্দ্রে ফল স্থগিত বা বাতিল করে প্রয়োজনে নতুন নির্বাচন করতে পারবে। পাশাপাশি ‘৯১’ ধারার ‘এ’ উপধারায় ‘ইলেকশন’ শব্দের বদলে ‘পোলিং’ শব্দ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।