Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

দেশের পলাতক ২১ শীর্ষ সন্ত্রাসীর সন্ধানে ইন্টারপোল

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ১৮:৩৩

দেশের পলাতক ২১ শীর্ষ সন্ত্রাসীর সন্ধানে ইন্টারপোল

ইন্টারপোল লোগো। ছবি: সংগৃহীত

দেশের পলাতক ২১ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তথ্য হালনাগাদ করছে ইন্টারপোল। ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এই ২১ জনের নামে রেড নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক পুলিশের এই সংস্থাটি। 

পলাতক এই ২১ শীর্ষ সন্ত্রাসী  বিদেশে বসেও খুন, চাঁদাবাজি ও এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের কারও কারও অবস্থান শনাক্ত করলেও ফেরত পাঠাতে পারেনি ইন্টারপোল। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার তদন্ত ও বিচারিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, ইন্টারপোলের এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রথমে ঢাকায় মামলা থাকা পলাতক সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, পরে ঢাকার বাইরে মামলা থাকা অন্য আসামিদের তথ্যও হালনাগাদ করা হবে।

পুলিশের সূত্র বলেছে, ইন্টারপোল পলাতক ২১ সন্ত্রাসীর বিষয়ে তথ্য জানতে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল কমিউনিকেশন ব্যুরো (এনসিবি) তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মার্চ ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) একটি চিঠি দেয় এনসিবি। চিঠিতে এসব আসামির বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর হালনাগাদ তথ্য দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিএমপি ১৭ মে এই চিঠি গ্রহণ করে পরদিনই বিভিন্ন বিভাগের উপকমিশনারদের (ডিসি) কাছে পাঠায়। তথ্যগুলো পেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তা ইন্টারপোলের নোটিশ অ্যান্ড ডিফিউশন্স টাস্কফোর্স, আইপিএসজিকে জানানো হবে।

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিক। মানিকের ভারতে থাকার কথা জানা গেলেও জিসানের অবস্থান দুবাইয়ে। ঢাকায় এখনো বিভিন্ন এলাকায় সুব্রত বাইনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে কালা জাহাঙ্গীর ফেরদৌস নিহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও তাঁর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করা হচ্ছে।

পুলিশের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ভারতে আত্মগোপনে থাকা মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত বর্তমানে ইতালিতে রয়েছেন। আমিনুর রসুল আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের উপকমিশনার ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর বেশির ভাগেরই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মামলার বিচার চলছে। আবার নতুন মামলায়ও তাদের নাম আসছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত ৬৫ বাংলাদেশির নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ রয়েছে। যে ২১ সন্ত্রাসীর হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাঁদের নামে রাজধানীর থানাগুলোতেই ১২-১৫টি করে মামলা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ত্রিমতি সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে ১২টি, জিসানের বিরুদ্ধে ৯টি, জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিকের বিরুদ্ধে ১টি, আমিনুর রসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগরের বিরুদ্ধে ২টি, প্রকাশ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৩টি, শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে ২৩টি, কালা জাহাঙ্গীর ওরফে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ৬টি, নবী হোসাইনের বিরুদ্ধে ১৬টি, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি, আব্দুল জব্বার ওরফে মুন্নার বিরুদ্ধে ১টি, চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি, খোরশেদ আলম রাসুর বিরুদ্ধে ১৩টি, মিন্টুর বিরুদ্ধে ৭টি, তৌফিক আলমের বিরুদ্ধে ৪টি, নাসিরুদ্দিন রতনের বিরুদ্ধে ৬টি, আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ১২টি, সালাউদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে ৭টি, নাঈম খান ইকরামের বিরুদ্ধে ১টি, শফিক উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১টি, সদর উদ্দিন চান্দুর বিরুদ্ধে ২টি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫