নবজাতকের মৃত্যু: কারাগারে সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১৮:১৯
সেন্ট্রাল হসপিটাল। ফাইল ছবি
রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু এবং মা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দুই চিকিৎসকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রাসেল।
এর আগে, সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু এবং মা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ার ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমণ্ডি থানা পুলিশ বুধবার (১৪ জুন) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে বলেন, এঘটনায় বুধবার ধানমণ্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন ‘অজ্ঞাত’ আসামিও রয়েছে।
সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি নামে এক প্রসূতি মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন। তাঁর দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মারা গেছে তাদের নবজাতক সন্তানও।
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হসপিটালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা। প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হসপিটালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। তখন ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।
মামলায় ডা. সংযুক্তা সাহাকে এজাহারভুক্ত না করার কারণ জানিয়ে ওসি বলেন, তিনি তখন দেশের বাইরে ছিলেন। তাই মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।