প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য শস্যের মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি করে পণ্য কিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো গর্হিত কাজ। সবাইকে এই ধরণের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনগণকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার (২১ মার্চ) সকালে ঢাকা-১০ আসনে জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র ভোট প্রদানের পর একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে, আতঙ্কিত হয়ে কিছু লোক অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্যদ্রব্য কিনে সংরক্ষণ করছে। তবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, আমাদের কোনো খাদ্য সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য কেনার দরকার নেই।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি আরো বলেন, সরকারি গুদামগুলিতে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন গম ছাড়াও ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর পাশাপাশি, বেসরকারি রাইস মিলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য রয়েছে। তাই আমি সকলকে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু খাদ্যদ্রব্য কিনতে অনুরোধ জানাই।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর বাংলাদেশে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন থেকে চায়নায় এটা দেখা গেল, সাথে সাথেই আমরা কিন্তু সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ৩১৫ জন শিক্ষার্থী ছিল ওখানে। তাদের ফিরিয়ে এনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে তারপর তাদেরকে আমরা ছেড়েছি। যারা বিদেশ থেকে আসছে, আমরা তাদের পরীক্ষা করছি ও যার ভেতরে এতটুকু সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে কোয়ারান্টিনে থাকার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, তাদের আমরা এটুকু বলবো যে তাদের নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোন তাদের সকলের নিরাপত্তার জন্য অন্তত ১৪টা দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা, তার দ্বারা পরিবারের সদস্য ও সাধারণ জনগণ কেউ যেন সংক্রমিত না হয় সে ব্যাপারে তাদের নিজেদেরকেই সতর্ক থাকতে হবে।

দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাইরে ঘোরাঘুরি না করে যতদূর সম্ভব নিজের ঘরে থাকেন, আর নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন।