Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের দাম কমছে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ১৮:৫৬

হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের দাম কমছে

হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্ট বা রিং। ছবি: সংগৃহীত

হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের (রিং) দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জীবনরক্ষাকারী মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদন ও সরবরাহে দেশের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজ এবং বোস্টন সায়েন্টিফিল। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি রিংয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিডিএ। যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যা কার্যকর হবে।

বৈঠক শেষে ডিজিডিএ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, হার্টের রিংয়ের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী রিংয়ের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না।

ডিজিডিএ মহাপরিচালক বলেন, বোস্টনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা আমাদের প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত পরে জানাবেন। আমরা একই মূল্য ভারতেও বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছি, তারা সম্মত হয়েছে।

অ্যাবোট ল্যাবরেটরিজের উৎপাদিত রিংগুলোর একটি এক্সিয়েন্স প্রাইম। বাংলাদেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত স্টেন্টগুলোর মধ্যে একটি। এর মূল্য ৫৬১ ডলার থেকে ৪২৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে রিংয়ের দাম ৬২ হাজার থেকে ৪৭ হাজারে হয়েছে। দাম কমেছে ১৫ হাজার টাকা। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ মূল্য ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫৪ টাকা।

প্রসঙ্গত, প্রতিমাসে দেশের সরকারি ও বেসরকারিভাবে আড়াই থেকে তিন হাজার রিংয়ের প্রয়োজন হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ দেখিয়েগত বছরের মাঝামাঝি থেকে প্রতিটি রিংয়ের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এতে করে ব্যয়বহুল এ রোগের চিকিৎসা মেটাতে গিয়ে চরম সংকটে পড়েন রোগীর ও তাদের স্বজনরা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫