
ছবি সংগৃহীত
ঈদের পরদিনও রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাহী আদেশে একদিন ছুটি বৃদ্ধির সঙ্গে শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে এবার ঈদের ছুটি পাঁচ দিন। এখনো ঈদের একদিন ছুটি বাকি আছে। আর তাই যারা ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারেননি, তারা এখন ভিড় করছেন রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে।
মহাখালীতে ঢাকার পাশের জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বেশি। ঈদের আগে যেখানে যাত্রীরা যাত্রা নিয়ে সংকটে ছিলেন, এখন ঠিক তার উল্টো চিত্র। ঈদের আগে যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি। অথচ আজ হাঁকডাক দিয়ে টিকিট বিক্রি করছেন কাউন্টারের কর্মীরা। নির্ধারিত ভাড়ায়ই নেওয়া হচ্ছে যাত্রী।
আজ শুক্রবার (৩০ জুন) মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে আশপাশের জেলাগামী মানুষের সংখ্যা বেশি। এখন নিয়মিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বাসগুলোর সামনেই কাউন্টার বসিয়ে টিকিট বিক্রি করছেন বাসের কর্মীরা। চলছে হাঁকডাক। ঈদের আগের দিনও এখানে যাত্রীদের পড়তে হয়েছিল অতিরিক্ত ভাড়া ও বাস না পাওয়ার ভোগান্তিতে।
কাউন্টারের কর্মীরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের একটা বড় অংশ ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন। এসময় মহাসড়কে যানজটও থাকে না। ঢাকা থেকে বেরোনোর ভোগান্তি কম থাকে।
শৌখিন পরিবহন, বিনিময় পরিবহন, শ্যামলী বাংলা পরিবহন গাড়িগুলো মহাখালী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনার উদ্দেশে যাত্রা করে নিয়মিত। ঈদের এক দিন আগেও এসব বাসের ভাড়া ছিল প্রায় দেড় গুণ থেকে দ্বিগুণ। তবে আজ নির্ধারিত ভাড়াই রাখছেন কাউন্টারের কর্মীরা।
এছাড়া বড় পরিবহন কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে ছিল ঘরে ফেরা মানুষের দীর্ঘ লাইন। মহাখালী টার্মিনাল থেকে বেশির ভাগ উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো ছেড়ে যায়।