
জামালপুরের রানীগঞ্জ যৌনপল্লী লকডাউন করা হয়েছে। করোনা মহামারী প্রতিরোধে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
রবিবার ২২ মার্চ থেকে আগামী একমাস লকডাউন থাকবে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ যৌনপল্লী।
জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক। এ সময় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এনামুল হক বলেন, লকডাউন থাকাকালীন যৌনকর্মীদের জনপ্রতি দৈনিক এককেজি করে মোট ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে।
এছাড়া বাড়িভাড়া, এনজিও কিস্তি, বিদ্যুৎ, ডিস ও পানির বিল মওকুফের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের অনুরোধ জানান।
জেলা কমিটির বৈঠকের পর দুপুর দেড়টার দিকে পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনির উপস্থিতিতে প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে রানীগঞ্জ যৌনপল্লী লকডাউন করে দেয়।
যৌনপল্লী সূত্র জানায়, এখানে দুই শতাধিক যৌনকর্মী রয়েছেন। ৯টি বাড়িতে ১৭৪টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে একজন করে যৌনকর্মী অবস্থান করেন। যৌনকর্মীদের কারো কারো একাধিক সন্তান রয়েছে।
লকডাউন সময়ে যৌনকর্মী ও তাদের সন্তানদের খাদ্য ও চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদানের দাবি করেছে প্রশাসনের প্রতি।
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি বলেন, রাণীগঞ্জ যৌনপল্লীতে ৫০ জন বৃদ্ধা, ৯৭ জন সক্রিয় যৌনকর্মী ও দুইজন পাহারাদার রয়েছেন। লকডাউন থাকাকালীন তাদের প্রত্যেককে জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে।