-64a0291d65890.jpg)
ঢাকায় শনিবার সকাল থেকে টানা ঝরছে বৃষ্টি। গ্রীনরোড থেকে তোলা। ছবি: স্টার মেইল
রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের অলি-গলিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। এই বেরসিক বৃষ্টি বাগড়া ফেলেছে ঈদ আনন্দে। কারণ বাসার সামনে পানি জমে থাকায় অনেকের পক্ষে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে ঈদের ছুটিতে যারা পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের অনেককেই সেই পরিকল্প বাতিল করতে হয়েছে।
আজ শনিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকার আকাশ ছিল বেশ পরিষ্কার। দিনের শুরুটা আলো ঝলমলে হলেও, বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মুষলধারে বৃষ্টি। বিকেলে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই বৃষ্টির ফলে রামপুরা অঞ্চলের অধিকাংশ গলিতেই প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। এমনকি বেশকিছু বাসাবাড়িতেও বৃষ্টির পানি ঢুকে যেতে দেখা গেছে। মিরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গলিতেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে বাড্ডা, মালিবাগ, খিলগাঁও, রাজারবাগ অঞ্চলেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি, হাতিরঝিলের কিছু অংশে। আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মিরপুর পাইকপাড়ার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, পরিকল্পনা ছিল আজ পরিবারসহ হাতিরঝিলে ঘুরতে যাবো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। বাসার সামনের রাস্তায় পানিতে টইটুম্বর। ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই।
পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতার বর্ণনা দিয়ে উবার চালক খোরশেদ আলম বলেন, একটা ট্রিপ নিয়ে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে পুরো সড়ক অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখেছি। কোথাও কোথাও আবার হাঁটু পানিও জমেছে।