
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিন ছিনতাইকারী। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ফার্মগেটে ছিনতাইকারীদের হাতে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হওয়ার পর নগরজুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলা ওই অভিযানে ১৪৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে পুলিশ সদস্য খুনে ‘জড়িত’ তিন ছিনকারীও রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আজ সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
এর আগে, গত শনিবার ভোরে ফার্মগেটে খুন হন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মনিরুজ্জামান। কারা, কেন তাকে হত্যা করেছে-তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও আজকের ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান।
পুলিশের এই কর্মকর্তারা জানান, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যায় রাব্বি (২১), লিটন (২১) এবং কামরুল নামে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনজন জড়িত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে তিন ছিনতাইকারী। এ সময় পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান তাদের বাধা দেন। তাকে ছুরিকাঘাত করে মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে ছিনতাইকারীরা পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। মোহাম্মদপুর গিয়ে তারা আলাদা হয়ে যায়।
সাংবাদিকরা জানতে চান, ঈদের ছুটিতে টহল পুলিশ, চেকপোস্ট বা গোয়েন্দা কার্যক্রমে ব্যত্যয় থাকায় ছিনতাই-ডাকাতি হয়েছে কি-না? জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। ঈদের আগে ১ হাজারেরও বেশি ছিনতাইকারীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নানা সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বসে নেই। মানুষের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে। তবে একটা জিনিস আমাদের বুঝতে হবে ব্যক্তিগত জিনিস ও নিজের শরীরের নিরাপত্তা কিন্তু পৃথিবীতে প্রত্যেকে নিজেই দিতে হয়। তবে রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে।