রাত থেকেই শুরু হতে পারে অঘোষিত ‘পরিবহন ধর্মঘট’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৭:২১

ফাইল ছবি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে আজ বুধবার (২৬ জুলাই) রাত থেকেই কার্যত অচল হতে পারে দেশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। এতে জনদুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে মনে করেন যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
গত বছর বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশের আগে অঞ্চলভিত্তিক পরিবহন ধর্মঘট দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত রাজধানীতে অনুষ্ঠিত আগামীকালের সমাবেশের আগেও একই চিত্র দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেসব ধর্মঘট সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিকভাবে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
বিভিন্ন বাস, লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে বাস ও লঞ্চ বন্ধে কেন্দ্রীয় মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে এই কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হলে একদফা দাবি পূরণে বিএনপি স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে, এমন শঙ্কা নিয়ে আলোচনা বিস্তর। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বুধবার বিকেল থেকেই বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে।
জনভোগান্তি প্রসঙ্গে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক কারণে যানবাহন বন্ধ হলে, জনভোগান্তি তৈরি হবে; এটাই স্বাভাবিক। এ কাজটি করা কোনোভাবেই ঠিক নয়। অতীতে দেখেছি এসব কর্মসূচির কারণে জরুরি রোগী পরিবহনও সম্ভব হয়নি। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, শ্রম আইন কিংবা সড়ক পরিবহন আইনে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট ডাকার কোনো বিধান উল্লেখ নেই। পরিবহন মালিক চাইলে তার তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। অন্যদিকে শ্রম আইনে দাবি-দাওয়া আদায়ে শ্রমিকদের ধর্মঘট ডাকার সুযোগ আছে। তবে দাবিগুলো অন্তত ১৫ দিন আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করার বিধান রয়েছে।