
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিনিয়োগ পরিবেশবিষয়ক প্রতিবেদন। ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিনিয়োগ পরিবেশবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালের ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচনের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন অনিয়ম, সহিংসতা ও ভয়ভীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারের কিছু পদক্ষেপের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গ প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের কারণ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের মধ্যে কৌশলগত অবস্থান এবং বড় শ্রমশক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, সীমিত অর্থায়নের উপকরণ, আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব, শ্রম আইনের শিথিল প্রয়োগ এবং দুর্নীতি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। এই সীমাবদ্ধতা কমাতে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।