দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য  আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কেরানীগঞ্জ কারাগারের নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলার এই অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্যকৃত ছিল। এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে হাজিরা দেন। এ সময় আদালতে দুদকের কৌঁসুলি পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি শুরু করেন। 

পরে দুদকের শুনানি শেষ হলে আসামি মঈনুল আহসানের পক্ষে তার আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। এদিকে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। 

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১৩ জন আসামি ছিলেন। এরমধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান  মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ও অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যান।

বর্তমানে খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য ৭ আসামি হলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলাটি  করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেসময় শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. সামছুল আলম। 

পরে একই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।