
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল (২২শে অগাস্ট)। সম্মেলনের অবকাশে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) এ বৈঠকের ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বিনয় মোহন কোয়াটরা সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ।
কোনও বৈঠক হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াটরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সামিটের অবকাশে কোন কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তার কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হলেই সেটা আপনারা জানতে পারবেন।
ব্রিকসের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে ভারত সমর্থন করবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে গিয়েছেন কোয়াটরা।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরসূচী এতটাই ব্যস্ততাপূর্ণ যে তাতে খুব বেশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জায়গা করার সুযোগই হচ্ছে না।
সূত্র আরও জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে জোহানেসবার্গে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী পুরো আড়াই দিন সেখানে থাকবেন। তারপরও সামিটের ফাঁকে তাঁর আলাদা এই ‘বাইল্যাটারাল’গুলো অ্যকোমোডেট করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
ভারতীয় কর্মকর্তারা সেই সঙ্গে আভাস দিয়েছেন, জোহানেসবার্গে একান্ত সম্ভব না-হলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসবেন তখন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা থাকবে।
ব্রিকসের সম্প্রসারণ নিয়ে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভারতের অবস্থান কী, সেটা তারা পরিস্কার করেনি। এমন কী কোন কোন দেশকে তারা সমর্থন করবে সেটাও জানায়নি।
সূত্র: বিবিসি