বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৪

ট্রেনটি কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে। ফাইল ছবি
৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলবে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনটি কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে। এ রুটে অক্টোবরেই পুরোদমে ট্রেন চলাচল করবে।
উদ্বোধন প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা-ফরিদপুর অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেই বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান ঢাকা-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন রেলপথে নতুন কোচ দিয়ে রেক তৈরি করে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।
পদ্মা সেতু হয়ে রেল লাইন যাবে ঢাকা থেকে যশোর। এই প্রকল্পের অন্তত ৮২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ট্রেন চলাচলের জন্য প্রায় প্রস্তুত কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশ।
পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রজেক্ট প্রকৌশলী নীলাকর বিশ্বাস জানান, কেরাণীগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে প্রথম এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশন। যার দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। লিফট ও চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে এই স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করবে।
পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রজেক্টের ব্রিজ অ্যান্ড ভায়াডাক্ট ইনচার্জ আমিনুল করিম বলেছেন, এই রেলপথে ঢাকা-মাওয়া অংশে চারটি বড় রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো শত বছরেও কিছু হবে না।
পদ্মা সেতুতে রেল নিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, ১০ অক্টোবর উদ্বোধন হবে কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা অংশ। সেদিন মাওয়া, জাজিরা ও শিবচরে তিনটি স্টেশন সিগনালসহ চালু হবে। এর এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। শুরুতে চলবে একটি ট্রেন। এরই মধ্যে ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচও সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা-যশোর রুটে ট্রেন চালানোর টার্গেট রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের এ রেলপথ রাজধানীতে আনবে নতুন গতি।
রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা। নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ তৈরি হবে ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। যা নতুন করে বিশ্বের বুকে পরিচয় করিয়ে দেবে আগামীর বাংলাদেশকে।