স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াশ ও শিশু সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সুইডেন সরকার ১৫ কোটি সুইডিশ ক্রোনার সহায়তা প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। মূলত বাংলাদেশে ইউনিসেফের চলমান কর্মসূচিকে সহায়তা ও আরও বেগবান করতে এ তহবিল ব্যবহার করা হবে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ শিশুদের চাহিদা পূরণ ও অধিকার আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও আরও নানা প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে যা মোকাবিলা করতে হবে সামনের সময়গুলোয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, "আমি আনন্দিত যে সুইডেন সরকারের এই উল্লেখযোগ্য অবদান ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবা যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে, যেখানে এগুলোর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।"

এদিকে এ সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ইউনিসেফ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালীকরণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান এবং সহিংসতা, নির্যাতন ও অবহেলা থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষাসহ চলমান কর্মসূচিসমূহ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।

সুইডেন সরকারের নানা কর্মসূচীর আওতায় শিশুদের অধিকার নিশ্চিতকরণ বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম। বাংলাদেশে ইউনিসেফের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব প্রকল্প-কেন্দ্রিক সহযোগিতা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে এটি একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত হয়েছে।

এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর শিশুদের চাহিদা পূরণ ও অধিকার আদায়ে সহায়তার জন্য টেকসই উদ্যোগগুলো নিশ্চিতে সুইডেন ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে বলেও ইউনিসেফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন  লিন্ডে বলেন, “শিশুরা আমাদের সবার ভবিষ্যৎ। সুইডেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বিনিয়োগ করা একটি সমাজের সার্বিক কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। আমি ইউনিসেফের সাথে এই অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পেরে আনন্দিত; এর মাধ্যমে সুইডেন বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইডেন বাংলাদেশে ইউনিসেফকে ৬ কোটি মার্কিন ডলারেরও অধিক সহায়তা দিয়েছে। ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতে সহায়তা প্রদানকারীদের মধ্যে সুইডেন বরাবরই অন্যতম।