ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৩০

টাকা ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য। ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর পল্টনে একটি ব্যাংকে ঢুকে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুই পুলিশসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজড পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফ।
অন্য তিনজন হলেন সোহেল, ফুটপাতের হকার হৃদয় ও তার সহযোগী মঞ্জু।
এ ব্যাপারে পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় দুই জন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন ব্যবসায়ীর কর্মচারী আজিম উদ্দিন দুপুরে ৭২, নয়াপল্টনের অরচার্ড ফারুক টাওয়ারে আইএফআইসি ব্যাংক নয়াপল্টন শাখায় ২০ লাখ টাকা জমা দিতে আসেন। তিনি এসে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ান। এ সময় পুলিশের ইউনিফর্ম পরা দুজন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। পরে তার কাছে থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডিবির মতিঝিল জোনাল টিম উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যাংকের সামনের ফুটপাতের হকার হৃদয় ও তার সহযোগী মঞ্জুকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজ হয়ে থাকা পুলিশের দুই সদস্য কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ আটক করে ডিবি। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরও ১০ লাখ টাকা ও মোটরসাইকেলসহ সোহেলকে আটক করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছিনতাইয়ের সঙ্গে দুজন পুলিশ কনস্টেবল জড়িত ছিল। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিভিলে থাকা তিন ব্যক্তি টাকার বিষয়ে ওই দুই পুলিশকে তথ্য দেন। এরপর ইউনিফর্ম পরা দুই পুলিশ কনস্টেবল ব্যাংকে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। দুই পুলিশ কনস্টেবল বিভাগীয় অপরাধের অভিযোগে আগে থেকেই বরখাস্ত ছিলেন। তাদের ডেমরা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছিল।