
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার মধ্যে ইসিতে আবেদন করতে হবে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন পাবে।
এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক বলেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের দপ্তরে ২০ থেকে ২৫টি আবেদন এসেছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, আবেদনগুলো সচিব স্যারের দপ্তর হয়ে আসে।
ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম এর আগে জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছে এমন সংস্থাও নতুন করে আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া আপত্তি আসা দুটি সংস্থাও চাইলে নতুন করে আবেদন করতে পারবে।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল ইসি। নির্ধারিত সময়ে ১৯৯টি এবং পরে ১১টিসহ মোট ২১০টি সংস্থা নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন করে। তাদের কাগজপত্র বাছাই করে গত ৮ আগস্ট ৬৮টির খসড়া প্রকাশ করে কমিশন। ওই ৬৮টি সংস্থার ওপর দাবি-আপত্তি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৩১ আগস্ট। এতে দুটি সংস্থার বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। সেগুলো শুনানি করে ৬৬টি সংস্থাকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেয় ইসি। আর আপত্তির শুনানি শেষে দুই সংস্থার মধ্যে মানিকগঞ্জের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশনের নাম পরিবর্তন করতে বলেছে কমিশন। আর ঢাকার রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশনের (রিহাফ) বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই দুই সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিষয়টি এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান আশাদুল হক।
এই ইসি কর্মকর্তা জানান, যেহেতু আগের নির্বাচনগুলোতে এত কমসংখ্যক পর্যবেক্ষক সংস্থা ছিল না। তাই এবার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কমিশন। এছাড়া নিবন্ধন দৌড়ে এগিয়ে থাকা এসব সংস্থার বেশির ভাগ উপজেলাভিত্তিক। বড় পরিসরে বা সারা দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে-এমন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিতান্তই কম। তাই পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা বাড়াতে ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে দ্বিতীয়বার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল।