
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ছবি: সংগৃহীত
দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে পূজার অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে সরকারি ছুটির দাবি করেন। এছাড়া সব স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদারেরও আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়কে পাঁচ দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই দুর্গাপূজা করতে হয়। দিন–রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সার্থকভাবে দুর্গাপূজা সম্পাদন করতে হয়। পাঁচ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র একদিন সরকারি ছুটি, যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গাপূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারেন না। এমনকি পরিবার–পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতেও পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়। বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়কারী সোনালী দাস, হিন্দু যুব মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী পংকজ হালদার, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি অনুপম দাস প্রমুখ।
জোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি বলেন, আশঙ্কা করছি, সাম্প্রদায়িক শক্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে হামলা করতে পারে। আশঙ্কা করছি, পূজা যত ঘনিয়ে আসবে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা তত বাড়বে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সকলের জন্য সমান করার দাবি জানিয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, এ দাবি আদায় না হলে ১৩ অক্টোবর সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।