চীনের উইঘুর মুসলিমদের ‘নির্যাতনের’ প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:১৩

চীনের পতাকা। ফাইল ছবি
চীনের ৭৪তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ২২ লাখ উইঘুর মুসলিমকে দীর্ঘদিন যাবৎ ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার প্রতিবাদে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্দ্যোগে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে ঢাকার পুরনো পল্টনের হোটেল ভোজনে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মুফতি রাকিবুল্লাহ হাবিবীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল বেলায়েত হোসাইন আল-ফিরোজী।
উক্ত প্রতিবাদ ও আলোচনা সভার সভাপতি প্রিন্সিপাল বেলায়েত হোসাইন আল-ফিরোজী তার বক্তব্যে বলেন, চীনা সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ২২ লাখ মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার মত প্রভাবশীল রাষ্ট্রগুলোও এ বিষয়ে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি সারাবিশ্বের শান্তিকামী জনগনকে চীনের এ নরকীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এবং বিশ্বের সকল রাষ্ট্রগুলোকে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ করিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি প্রিন্সিপাল বেলায়েত হোসাইন আল- ফিরোজী আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তথা সারা বিশ্বের মুসলিম জনগণের মধ্যে উইঘুর মুসলিমদের উপর চায়নার হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা জাগিয়ে তুলুন। তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে উইঘুর মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং চায়না সরকারের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম ভাইদেরকে চায়নার পণ্য বর্জনের আহবান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, চায়না সরকার যদি মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে সারাবিশ্বের মুসলিগণ চায়না পণ্য বর্জন করবে এবং চায়নার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে স্ব-স্ব দেশকে বাধ্য করবে, তখন চায়না সরকার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে পথে বসতে বাধ্য হবে।