গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:১৫

গার্মেন্টস শ্রমিক। প্রতীকী ছবি
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছে গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এলায়েন্সভ। আজ রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সামনে শ্রমিক সমাবেশ শেষে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মূল মজুরি, মোট মজুরির কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ, বাৎসবিক মজুরি বৃদ্ধি কমপক্ষে ১০ শতাংশ, ৫টি গ্রেডের মজুরি কাঠামোয় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণাসহ প্রতি গ্রেডের মধ্যবর্তী পার্থক্য সমহারে ১০ শতাংশ, পুরাণ ভিত্তিক শ্রমিকদের মজুরি তৃতীয় গ্রেডের সমমানে বিবেচনা এবং মজুরি কাঠামোয় শিক্ষানবিশ নামে পৃথক কোনো মজুরি স্থর না রাখার ৭ দফা দাবিতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এলায়েন্স, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতা আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে এবং খালেকুজ্জামান লিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, তৌহিদুর রহমান, নাহিদুল হাসান নয়ন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- বাবুল আক্তার, লাভলি ইয়াসমিন, বজলুর রহমান, রফিকুল ইসলাম সুজন, সেলিম মাহমুদ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ১০ এপ্রিল এই মজুরি বোর্ড গঠিত হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী এই বোর্ডকে ৬ মাসের মধ্যে মজুরি সুপারিশ করতে হবে। আগামী ৯ অক্টোবর এই মজুরি বোর্ডের সাধারণ মেয়াদ শেষ হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত মালিকরা তাদের পক্ষে মজুরি প্রস্তাবনা বোর্ডে উত্থাপন না করে কালক্ষেপণের কৌশল গ্রহণ করেছে।
নেতারা মালিকদের এই কুট কৌশলের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা স্মারকলিপিতে ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবির পক্ষে যুক্তিসমূহ বিস্তারিত আকারে তুলে ধরেছি। আমরা মনেকরি শ্রম আইনের ১৪১ ধারায় উল্লেখিত মানদণ্ডসমূহের বিচারে কিংবা জাতিসংঘের এসডিজি অর্জন করতে হলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৪০ হাজার টাকার বেশি হওয়া প্রয়োজন। তাই শ্রমিকদের ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবি উপেক্ষা করা রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা কে উপেক্ষা করার শামিল।
তারা আরও বলেন, মজুরি ঘোষণায় কোনো রকম ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তার দায় মালিক ও সরকারকে বহন করতে হবে।