জগন্নাথের নারীবিদ্বেষী বিধিমালা বাতিলের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০৬

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের লোগো। ফাইল ছবি
সম্প্রতি সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দীপিকা রানি সরকার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, ‘আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলী এবং আচরণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা আবাসিক সীট পাবে না বিধায় তারা অতিদ্রুত হলের সীট ছেড়ে দিবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে এই বিধিমালাকে নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে এ ধরনের নোটিশ নারীর প্রতি চরম বৈষম্য ও নারীকে সামাজিকভাবে হেয় করার এক চূড়ান্ত নজির। একই সাথে এটা সংবিধানে নারী পুরুষের যে সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে তারও চরম লঙ্ঘন। এধরনের নোটিশ কিংবা বিধিমালা নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রবল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
তারা আরও বলেন, প্রভোস্ট এক মন্তব্যে বলেন, বিবাহিত নারীদের দায়িত্ব তাদের স্বামীরা নেবে, বিশ্ববিদ্যালয় কেন নেবে? এটা এক চরম ঘৃণিত মন্তব্য। প্রভোস্ট নিজে একজন চাকরিজীবী নারী, তিনি কেমন করে নারীকে তার স্বামীর উপর নির্ভরশীল হওয়ার জন্য ঠেলে দেন তা কোন আধুনিক মানুষের বোধগম্যই হওয়ার কথা নয়। কে কবে বিয়ে করবে এটা প্রত্যেক পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই পূর্ণ বয়স্ক মানুষ। তাই বিয়ে করার কারণে কোন মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই নারী বিদ্বেষী ও সংবিধান বিরোধী বিধিমালা বাতিলের দাবি জানান এবং একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে ডাক্তার এবং নার্স রাখার দাবি জানান যাতে যে কোন জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।