দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে যা জানালেন ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০:২৯

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সমসাময়িক পরিস্থিতি মাথায় রেখে দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাসহ এবং টহলরত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নম্বরগুলো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এমনটি জানিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যাতে যেকোনো সময় টহল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আজ সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে ট্রাফিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ধর্মাবলম্বী নেতাদের আসন্ন দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের ও টহল পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বরগুলো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে যেকোনো সময় যোগাযোগ করা যায়।
এছাড়া ইন্সপেকশন চেক লিস্টে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় স্বাক্ষর করবেন। স্বেচ্ছাসেবীদের কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন বা তদন্ত) উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দেশের সব নাগরিক মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য যেকোনো ধরনের প্রতিকূলতা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
কোনো পূজামণ্ডপে কোনো সমস্যা আছে কি না সে বিষয়ে নিজেই খোঁজ নেবেন বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। কোনো অপতৎপরতার তথ্য পেলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
সভার শুরুতে শারদীয় দুর্গোৎসবে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার। সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, আজান ও নামাজের সময় বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।