প্রতীকী ছবি
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদ নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ আখড়া পূজা মণ্ডপে মঞ্চায়ন করবে কোলকাতার আকাশ বাণী বেতার কেন্দ্র থেকে বহুল প্রচারিত কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ পঙ্কজ কুমার মল্লিক সুরারোপিত ও বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র গ্রন্থিত আদি মহালয়া পর্বের কাব্য, গীতি ও নৃত্যালেখ্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।
‘যা চণ্ডীমধুকৈটভাদি দৈত্যদলনী যা মাহিষম্মুল্লিনী।
যা ধুমরেক্ষু চণ্ডমুণ্ড মথনি যা রক্তবীজাশনি’ - সুর ও অসুরের দ্বন্দ্বে যখন পৃথিবীর বুকে নেমে আসে মহা দুর্যোগ, তখন প্রয়োজন প্রতিরোধের। দেবী দুর্গাকে মনে করা হয় শক্তি স্বরূপিনী দুর্গতিনাশিনী রূপে। মহিষাসুরকে প্রতিরোধ করতে দেবতারা স্মরণ নেন দেবী দুর্গার। দেবী দুর্গা পরাক্রমশালী মহিষাসুরকে বধ করে দেবতা কুলকে রক্ষা করেন। সনাতন ধর্মানুসারে মহালয়ার দিন শেষ হয় পিতৃপক্ষের। এই পিতৃ পক্ষের শেষ দিনে ভোরে পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়।
পিতৃপক্ষের শেষে শুরু হয় মাতৃপক্ষ বা দেবী পক্ষের। মাতৃপক্ষের এই সূচনা লগ্নে প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। উন্মেষ ২০২১ সালে প্রথম নারায়ণগঞ্জে সরাসরি মঞ্চে এই কাব্য, গীতি ও নৃত্যালেখ্যটি নিয়ে আসে। এ বছর উন্মেষ এটির তৃতীয় মঞ্চায়ন করবে। এই কাব্য, গীতি ও নৃত্যালেখ্যটির সংগীত, নাট্য ও নৃত্য পরিচালনা করেছেন সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, প্রদীপ ঘোষ বাবু এবং পুষ্পিতা সাহা।
নারায়ণগঞ্জ উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান জেমস্ বলেন, এবারের মঞ্চায়নে উন্মেষের পঞ্চাশোর্ধ কলাকুশলী কাজ করেছেন। মহালয়ার ভোরে এই আয়োজনটি সরাসরি মঞ্চে উপভোগ করার জন্য সবার প্রতি উন্মেষ পরিবার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।