‘শেখ রাসেল শিশুদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে’

সিনিয়র রিপাের্টার
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৫৯

বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের অংশগ্রহণে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্ম দিবস।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে “শেখ রাসেল দিবস ২০২৩” উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, শেখ রাসেল নির্মলতা, বিশুদ্ধতা, মানবতা ও শিশুর অধিকারের প্রতীক। শেখ রাসেল বিশ্বের সকল শিশুর প্রতিচ্ছবি। শেখ রাসেল বিশ্বের শিশুদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে। শেখ রাসেল বিশ্বের শিশুদের মধ্যে বেঁচে থাকবে হাজার বছর ধরে।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে এদেশে শিশু ও নারীর প্রতি হত্যা সহিংসতা শুরু হয়। আমরা কোমলমতি রাসেলকে বাচিয়ে রাখতে পারিনি। শেখ রাসেলকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে একজন সুনাগরিক, দেশ প্রেমিক ও যোগ্য নেতা হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারতেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ও অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও অভিবাবকরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব নাজমা বলেন, শেখ রাসেল ছোট বেলা থেকেই ছিল অসামান্য মানবিক গুণের অধিকারী। রাসেল বেচে থাকলে তার কর্মের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতেন। দেশ ও জাতি উপকৃত হতো।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়”। অনুষ্ঠানে দুজন শিশু শেখ রাসেলকে নিয়ে অনুভূতি ও শুভেছা জানিয়ে বক্তব্য রাখে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘আমাদের শেখ রাসেল’ শিরোনামে চিত্রাঙ্কন, ‘শেখ রাসেল লাল সবুজের রাজপুত্তুর’ বক্তৃতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠান শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। আলোচনা পর্ব শেষে ছিল পুরস্কার প্রদান এবং শিশুদের পরিবেশনায় ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকালে বনানীতে শেখ রাসেলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরাল ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।