
ছবি: স্টার মেইল
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিভিন্নি নির্দেশনার মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় খোলা বাজারে (ওএমএস) ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার (৫ এপ্রিল) থেকে।
ঢাকার মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়ালবাড়ীর রূপনগর ঝিলপাড় বস্তি ও মহাখালীর সাততলা বস্তি এলাকায় এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে এই চাল কেনা যাবে। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
রবিবার থেকে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরুর পর তা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে বলে খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কার্যক্রম ঢাকা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় বা খাদ্য অধিদফতরের তত্ত্ববধানে ঢাকা রেশনিং ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রমে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ শনিবার থেকে ৯৬টি কেন্দ্রে ওএমএসে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সপ্তাহে ছয়দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আটা বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরে ৭৩টি বস্তি আছে। এসব বস্তিতে ৩৯ হাজার ১৮০টি পরিবারে প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস।
এদিকে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেনামি বা অবৈধ কার্ড জনপ্রতিনিধি-ডিলারসহ কারো কাছে থাকলে তা রবিবারের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ৫ তারিখের পর কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়লে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি-ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।