উদ্বোধনের পরদিনই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪৩

চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। ছবি- সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পরদিন সকাল থেকেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় সেতু ভবনে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে পতেঙ্গা প্রান্তে। এরপর আনোয়ারা প্রান্তে কোরিয়ান ইপিজেটের মাঠে একটি জনসভা হবে।
তিনি বলেন, টানেলের উদ্বোধনের পর দিন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
টানেলের সার্বিক দিক তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের এলাইনমেন্ট পতেঙ্গা প্রান্ত, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হতে কর্ণফুলী নদীর ২ কিলোমিটার ভাটিতে। আর টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার কাফকো সার কারখানার নিকটে। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
কাদের বলেন, দুই টিউব বিশিষ্ট চার লেনের টানেল প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তা ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার হলেও মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। ব্রিজ-ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ৭২৭ মিটার (আনোয়ারা প্রাপ্তে), অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার, টোল প্লাজার দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার, আন্ডার পাস ৫৬টি (আনোয়ারা প্রান্তে পাঁচটি এবং পতেঙ্গা প্রান্তে একটি), কালভার্টে ১২টি, সার্ভিস এরিয়ার ৩০টি বাংলো, একটি ভিআইপি বাংলোসহ মোটেল মেস, হেলনা সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিংপুল, ব্রিজ, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা রয়েছে।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে বাণিজ্যিক চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ৩০ জুন। পরের বছরের ১৪ অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি পরস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।