Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

জামিন মেলেনি বিএনপির দুই নেতার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:০৯

জামিন মেলেনি বিএনপির দুই নেতার

মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিলকিস আক্তারের আদালত নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত ১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নামোল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

গত ১ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন আব্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং হত্যার উদ্দেশে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় তারা। এসময় আসামিরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে।

মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি দুর্নীতি দমন কমিনের (দুদক)। ফলে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুকের।

তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা তার আইনজীবীর।

অন্যদিকে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের মামলায় আলালের জামিন নামঞ্জুর করেন।

গত ৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে আলালকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেদিন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় আলালকে গ্রেপ্তারের পর গত ১ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এতে আরও বলা হয়, জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবংএএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫