Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আচরণে হতাশ ইসি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৭

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আচরণে হতাশ ইসি

নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (সম্ভাব্য প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) গোপন বৈঠক ও সখ্যতা গড়ে তোলার খবরে বিব্রত ও হতাশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীতিনির্ধারকরা। খবর ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

ইতোমধ্যে যারা প্রার্থীদের আমন্ত্রণে তাদের আনুকূল্য পেতে সভায় মিলিত হয়েছেন তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি বিধি-ভঙ্গের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিদের্শনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা কোনো প্রার্থীর রাজনৈতিক কর্মী বা তাদের এজেন্ট না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ব্যক্তির না তারা রাষ্ট্রের। তাদের ওপরে যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে তা লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিধি-ভঙ্গ করে কারো আনুকূল্য পেতে সভায় মিলিত হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যারাই এই কাজটি করছেন বা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা নিদের্শনা দিয়েছি। আগামীতে যাতে আর কেউ এ ধরনের অনৈতিক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত না করেন সেজন্য আমার বিভাগীয় পর্যায়ের সফরেও কঠোরভাবে অনুশাসন দিয়ে এসেছি। এরপরও যারা করবেন তাদের বিষয়ে উপযুক্ত আইনের আলোকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদেরও ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ইসি। এসব কর্মকর্তারা যদি দায়িত্বে নিয়োজিত হওয়ার আগেই অনৈতিক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ফেলেন তাহলে ভোট কার্যক্রমটিই বিতর্কিত হয়ে পড়ে।

ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় ক্ষমতাসীন সমর্থিত মন্ত্রী ও এমপিরা বা প্রভাবশালীরা পছন্দের ভোট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগাম বৈঠক করছেন। লক্ষ্য কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আগেই নিয়ে নেওয়া। এটা যে কোনো স্তরের নির্বাচনের ক্ষেত্রে অশনিসংকেত। ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘটনা ইসির দৃষ্টিতে এসেছে। কমিশন এ নিয়ে বিব্রত ও হতাশ।

তবে, কমিশন থেকে এত কঠোর বার্তা দেওয়ার পরও নিজেদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলুষিত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে কেন্দ্রের সম্ভাব্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নিতে নিদের্শনা দিয়েছেন। বারবার সতর্ক করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য চার কমিশনার। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে এর আগে গাইবান্ধায় ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সর্বশেষ হবিগঞ্জের ডিসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা চন্দনা দাসকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ
নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নাম কর্তনের জন্য হিড়িক পড়েছে। অনেকে অসুস্থতার কথা বলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত তদবির করছেন তারা। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫