
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ছবি- সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শপথ নিয়েছেন বিজয়ী ২৯৮ সংসদ সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শপথ নিতে যাচ্ছেন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। যেখানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ৩৬ জন সদস্য আজ শপথ নেবেন বঙ্গভবনে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন। নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন গতবারের ৩০ জন সদস্য।
তার মধ্যে রয়েছেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পরিকল্পনা-মন্ত্রী এম এ মান্নানের মতো হেভিওয়েটরা।
এছাড়াও বাদের তালিকায় আছেন- পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বন ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাদ পড়া মন্ত্রীরা কে কী বলছেন-
গত ১০ বছর সুনামগঞ্জের সংসদ সদস্য এমএ মান্নান মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। শুরুতে তিনি অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচ বছর। এরপর তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। এবারের মন্ত্রিসভায় তিনি নেই। মন্ত্রিসভায় কেন জায়গা হয়নি এ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, আই এম ভেরি হ্যাপি হোয়াট আই ডিড (আমি যা করেছি তাতে আমি খুশি)। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জনগণের আড়ালে থাকা একটি বিষয় ছিল। আমি সেটাকে মানুষের সামনে আসতে পেরেছি।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াকে নেতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ মনে করে হয়তো পারে নাই, সেজন্য বাদ পড়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা ও রকম না। আমার ধারণা ছিল আমি হয়তো থাকবো না। পরপর দুইবার মন্ত্রিসভায় থাকার পরে তৃতীয়বার কাউকে মন্ত্রী করে না।
সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন, এখানে আমার মন্তব্য করার কিছু নেই। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাউকে যোগ্য মনে করতে পারেন, আবার কাউকে অযোগ্য মনে করতে পারেন। আমি একেবারে মহা যোগ্য বা ব্যর্থ – এসব কিছুই বিষয় নেই। মন্ত্রী পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার সাংবিধানিকভাবে রয়েছে।
বাদ পড়াদের মধ্যে অন্যতম রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা গঠন করা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। যে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়েছে সেখানে সবাই যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, আমি তো সংসদ সদস্য, আমার তো দায়িত্ব চলে যায়নি। মন্ত্রী হিসেবে এতোদিন আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমি নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় দিতে পারবো। আমি একজন আইনজীবী, আদালতে আমার পুরনো পেশায় ফিরে যেতে পারবো।