
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
নানা কর্মকাণ্ডে তৎপর নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভালো কিছু করার প্রত্যয় অনেকেরই। শুরুতেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। জানাচ্ছেন গণমুখী নানা পরিকল্পনার কথা। ব্যক্ত করছেন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা।
নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। ২৫ মন্ত্রীর মধ্যে নতুন ১২ জন আর বিদায়ী মন্ত্রিসভার ১৩ জন রয়েছেন। অন্য দিকে ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে আগের মন্ত্রিসভার চারজন রয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে নতুন মুখ সাতজন।
মন্ত্রিসভা গঠনের পর গত ১৪ জানুয়ারি প্রথম অফিস করেন নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। এর আগে ১৩ জানুয়ারি গোপালগঞ্জে অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন। পরে ১৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয় প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভা বৈঠক। এর মধ্যেই বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নতুন উদ্যমে কাজে নেমে পড়েছেন। জানাচ্ছেন তাদের পরিকল্পনার কথাও।
কঠোর অবস্থান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার পথিকৃৎ সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট কোটায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছেন। শুরু থেকেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা জানাচ্ছেন। স্বাস্থ্য খাতটাকে বদলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের চিকিৎসক সমাজ, নার্স, ওয়ার্ড বয় সবাই যদি আমাকে সাহায্য করে, তাহলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা আমার জন্য কঠিন কিছু নয়।
গত ১৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন। তবে আপনারা আস্থা রাখুন। আমি সারাজীবন দুর্নীতি করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। আমি থাকাকালে কোনোরকম দুর্নীতি আমি মেনে নেব না এবং দুর্নীতি করে কেউ রেহাইও পাবে না।’
স্বাস্থ্য খাতে অনেক সমস্যা রয়েছে জানিয়ে তিনি গত ১৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অননুমোদিত, লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল চলতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি আমি একদিনে পারব না। কিন্তু আমার মেসেজ হচ্ছে যে, এই অননুমোদিত ক্লিনিক, হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। আমি নিজেও ভুক্তভোগী এগুলোর জন্য।
আশার কথা শোনাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্য নিয়ে কারসাজি বা সিন্ডিকেট দূর করার কথা প্রথম দিনই জানিয়েছেন নতুন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৪ জানুয়ারি প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়ে বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের কৃষকদের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে করব। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি। এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব।’
গত ১৭ জানুয়ারি কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে, আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্টাডি করতে চাই। মার্কেট মনোপলি না ওলিগপলি সেটি দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে, সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কোনোভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
প্রশাসনমন্ত্রী
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিনই অফিস করতে এসে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়ে এবার তার দৃঢ় পদক্ষেপ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, যিনি আগে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প যখন শেষ হয়ে যায়, সেই প্রকল্পের গাড়িগুলো পরিবহন পুলে এসে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলো এসে পৌঁছায়নি। এবার আমরা খুবই কঠোর পদক্ষেপ নেব। আইএমইডি থেকে আমরা জানব কতগুলো প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্প কবে শেষ হয়েছে, গাড়িগুলো কোথায় আছে, সেই গাড়িগুলো আমাদের পরিবহন পুলে জমা দিতে হবে। এই বিষয়টি এবার আমরা খুব শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করব।’
ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়গুলো আমরা ইতোমধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। সামনের দিন এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমরা চাইব বৈষম্য যাতে শূন্যতে আসে। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ একই সঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হোক হবে বলেও জানান তিনি।
সক্রিয় খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আগের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর তৎপর রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বেড়েছে চালের দাম। এ অবস্থায় গত ১৭ জানুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তরে চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসেন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে চার দিনে চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, ঠিক সেভাবেই কমানোর নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি প্রয়োজনে চাল আমদানি করার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমদানি শুল্ক শূন্যে নিয়ে আসতে ফাইল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে চাল আমদানি করা হবে। একই সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি দল বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে। গত ২২ জানুয়ারি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুদ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে তৎপর
নিত্যপণ্য নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে।
বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই বসাটা একটি সদিচ্ছার প্রকাশ। আপনাদের, আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার-দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং যাতে সহজলভ্য হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারসাজিতে কিছু কিছু জিনিসের ব্যত্যয় ঘটেছে, সে ব্যাপারে যাতে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি এবং কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল কথা হলো, বাজারে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শর্টেজ নেই। কিন্তু কিছু মধ্যস্বত্বভোগী আছে, যারা কারসাজি করে তারা আছে। সেই শ্রেণির কৃত্রিম একটি সংকটের কারণে আমরা এ ধরনের একটি বিপদে পড়ি। সুতরাং আপনারা আজ থেকে আশ্বস্ত হতে পারেন, ইনশাল্লাহ শিগগির আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।
গত ১৮ জানুয়ারি নতুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন রমজান মাসে প্রান্তিক মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন ও মজুদ থাকার পরও তুলনামূলক বিচারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর কারণগুলো প্রধানমন্ত্রী নিজেই খতিয়ে দেখছেন এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন।
তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত ডিমের উৎপাদন আছে, মাছের উৎপাদনও যথেষ্ট। সুতরাং এগুলো ঠিক কী কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না, সেটি খতিয়ে দেখার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে। এ থেকে উত্তরণে আগামী রমজানকে সামনে রেখে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল-তেল দেওয়ার মতো করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত বস্তিনির্ভর এলাকা, দরিদ্রতর মানুষের বসবাসের জায়গায় ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে।
শিক্ষামন্ত্রীর নানা পরিকল্পনা
শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা অনেক দিন ধরেই। নতুন শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার।
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের জানান, মাধ্যমিকের নতুন পাঠক্রম অনুযায়ী মূল্যায়নে কোনো দুর্বলতা ও সমস্যা থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী তা পরিবর্তন করা হবে। গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে।’
স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ২৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো সংস্কার শুরু করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী। ‘শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি বাণিজ্য এবং অন্য কোনো অনিয়মের সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই বেশ তৎপর রয়েছেন। ভোটের আগে কূটনৈতিক যে চাপ ছিল সরকারের ওপর, তা উপশমে তিনি তার নতুন দায়িত্বে সক্রিয় রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এর মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট জি-৭৭-এর দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে উগান্ডায় যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পরিবেশমন্ত্রী
নতুন দায়িত্বে যোগ দিয়ে পরিবেশ রক্ষায় নিজের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। গত ১৮ জানুয়ারি সকালে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষ হতে ওসমানী উদ্যানে অবৈধভাবে বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া দেখতে পেয়ে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ঘটনা সরেজমিনে দেখে উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিএফ করপোরেশনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
জুনাইদ আহমেদ পলক আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তখন তিনি অবৈধ মোবাইল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এবার তিনি এসেই এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক বৈঠকে বিটিআরসি কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন। তিনি তাদের দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত ও আমদানি করা মোবাইল হ্যান্ডসেটের ডেটাবেজ এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে উল্লেখ করে নিবন্ধনহীন মোবাইল ফোন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেন।
গত ২২ জানুয়ারি গাজীপুরে পরিদর্শনে গিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে (টেশিস) আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে। আয় বৃদ্ধি এবং অপচয় কমিয়ে আয়ব্যয়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে নির্দেশনাও দেন তিনি।