
কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে ইজতেমার ময়দান। ছবি: গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরু হয়েছে। ফজরের নামাজের পর বয়ান শুরু করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান, আর বাংলায় তরজমা করে শোনান বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালেই টঙ্গী শহর এবং ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা রোড, আশুলিয়া রোড, টঙ্গী, কামার পড়া রোড হয়ে ট্রাক, পিকআপে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন তুরাগ তীরে। তার তাদের নির্ধারিত খিত্তায় গিয়ে অবস্থা নিচ্ছেন। সেসব খিত্তায় চট নেই, সেখানে নিজ নিজ উদ্যোগে মুসল্লিদের টাঙিয়ে নিতে দেখা গেছে চট ও সামিয়ানা। ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। আগামীকাল রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইজতেমা ময়দানে আগত আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ইজতেমা ময়দানে আজ ফজরের নামাজের পর এই ৩ মুসল্লির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইজতেমার মুখপাত্র হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, নামাজে জানাজার পর লাশ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আজ আসারের নামাজের পর বেশ কয়েকটি বিবাহ পড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজকরা।
ইজতেমা ময়দানের একশত ষাট একর জমি ইতোমধ্যে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বাস-ট্রেন ও পিকআপে করে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জুবায়ের সমর্থক মুসুল্লিরা।
ইজতেমা শেষ করে যারা চিল্লায় যাবেন তাদেরকে ভাগ করে দেওয়া হবে এখান থেকে। ইজতেমা শেষে রবিবারে দেশ-বিদেশে ইসলাম ও আকিদার প্রচারে বের হবেন তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য নিয়ে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ইজতেমায় আগত দেশী ও বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাই রোধে র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন।