তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩১

বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ এর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকেই বয়ান, মাশোয়ারাসহ নানা আনুষ্ঠনিকতা চলছিলো। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্ব।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আম বয়ান করেন। বয়ানের বাংলা তরজমা করে মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের উপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ্ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিক ভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এবারের ইজতেমায় ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভী না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। গত বুধবার মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াসসহ ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪ জনের একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে বয়ান শুরু করেন মুরুব্বিরা।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
মাশোয়ারার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ময়দানে আসা মানুষদের উদ্দেশে বাদ ফজর থেকেই প্রাথমিক বয়ান শুরু করেন তাবলীগের মুরুব্বিরা। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শরিফ সাহেব। তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (কাকরাইল মসজিদ)।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য নিয়ে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ইজতেমায় আগত দেশী ও বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাই রোধে র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন। রয়েছে ফায়ার সার্ভিস,স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের তৎপরতাও।