Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন বেঁচে ফেরা ২ জন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন বেঁচে ফেরা ২ জন

আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন। ছবি: সংগৃহীত

আগুন লাগার পর দৌড়ে আমরা ওপরে যাই। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের লোকজন ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। ৭ তলা ভবনের পুরোটা আগুনের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল অনেকের। অনেকে ওই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁচার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেন। অনেকে গ্লাস ভেঙে গ্রিল ধরে নামেন। অনেকে লাফ দেন।

আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে ফেরা দুজন ব্যক্তি। তারা দুজনই ওই ভবনের ভিন্ন দুটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।

নিচতলায় অবস্থিত ‘মেজবানি খানা’ রেস্টুরেন্টের কর্মী কামরুল হাসান বলেন, আমরা প্রথমে একটা শব্দ পেয়ে বাইরের দিকে তাকাই। তখন গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ধোঁয়া পুরো বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে যায়। আমরা আর গেট দিয়ে বের হতে পারিনি। তখন আমরা যারা রেস্টুরেন্টে ছিলাম তারা ওপরের দিকে উঠে যাই। কিন্তু সিঁড়িতে ৫ তলা পর্যন্ত উঠে আটকে যাই। আগে থেকেই অনেক লোক সেখানে অবস্থান করছিল। ওপরে আর উঠতে পারিনি লোকের কারণে। ওই ফ্লোরে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, আমরা কিছু মানুষ তখন সেখানে আশ্রয় নিই।

আগুনের ধোঁয়ায় ভবনে থাকা অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় যায়। যে যার মতো এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। যতটুকু দেখেছি, অনেকে এই ধোঁয়ার কারণে হাঁটতে পারছিল না। এই ধোঁয়া বের হওয়ার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। ওই ফ্লোরের রেস্টুরেন্টের কিচেনে একটু ফাঁকা ছিল, ওইটা দিয়ে আমি নিচে লাফ দেই। তারপর আর আমার কোনও হুঁশ ছিল না।

ভবন থেকে বের হওয়ার জরুরি কোনও সিঁড়ি ছিল না জানিয়ে কামরুল বলেন, আমি ওখানে ১ বছর ধরে কাজ করি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া বিল্ডিং থেকে নামার অন্য কোনও ব্যবস্থা দেখিনি।

কাচঘেরা বদ্ধ ভবনে বাতাস আসা-যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না জানিয়ে ওই ভবনের তিনতলায় অবস্থিত খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মী জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরির কাজ করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বলেন নিচে আগুন লেগেছে। সবাই উপরে আসেন। আমি বের হয়ে নিচে নামার জন্য গেলে দেখি সবাই উপরেই উঠতেছে। নিচ থেকে সিঁড়ি দিয়ে কালো ধোঁয়া উপরেই আসতেছে। দৌড়ে ছাদে যাই। সেখানে অনেকের দেখাদেখি আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নেই। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ভবনের রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার নিচে থাকে বলে জানান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫