
নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে মারা যাওয়া নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় মিলেছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অভিশ্রুতি শাস্ত্রী বা বৃষ্টি খাতুন নাম পরিচয়ের জটিলতায় মরদেহ দুইদিন শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে ধরে পড়ে আছে। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কুষ্টিয়ার খোকসার সবুজ শেখের দাবি, নিহত তরুণী তার সন্তান। তবে ভিন্ন দাবি রমনা কালী মন্দিরের সভাপতির।
তথ্য যাচাইয়ের পর জানা যায়, ওই নারী সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকশার বনগ্রামে। প্রতিবেশীদের দাবি, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। সবুজ শেখের মেয়ে তিনি।
ওই নারী সাংবাদিকের প্রতিবেশীরা বলেন, বৃষ্টি খাতুন সবুজের মেয়ে। এটা গ্রামের সবাই জানে। তার দুই বোন বলেন, সে আমাদের বড় বোন। কিন্তু তাকে কেন আমাদের কাছে আনতে দিচ্ছে না তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের বোনকে ফেরত চাই।
প্রমাণ হিসেবে পরিবার দেখান, জন্ম সনদ ও স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট। একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমের যাচাইয়ে যার সত্যতা মিলেছে। নারী ওই সাংবাদিকের মা বলেন, আমার মেয়ে বৃষ্টি খাতুন। আমার চেয়ে আমার মেয়েকে আর কেউ বেশি চিনতে পারবে না।
একই তথ্য নিশ্চিত করেন ৩ নম্বর বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই মেয়ের জন্মনিবন্ধন কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড আমাদের ইউনিয়ন থেকেই করা। সে আমাদের এলাকার ভোটার।
তবু পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ পরীক্ষার কথা ভাবছে পুলিশ। রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রয়োজনে তার ডিএনএ টেস্ট করে তার প্রকৃত অভিভাবককে খুঁজে বের করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।