
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পরিস্থিতি সামলাতে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে চেয়ারম্যান মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন বলেন, আজ উপজেলা পরিষদে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ছিলো। সেখানে ইউএনও আমাকে ডেকেছিলেন। আমি যেতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ প্রোটেকশন দেওয়ার শর্তে বের হই। ১০ টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আমাকে প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে।
তিনি বলেন, বাজারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পূর্বেই ব্যবসায়ীরা আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমার সমর্থকরা বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।
পরে পুলিশ আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে আমাকে চিকিৎসা দিয়েছে। সাথে ইউএনও, ওসি, এসিল্যান্ড এসে দেখা করেছেন। এমপি কিছুক্ষণের মধ্যে আসছেন বলেও জানান তিনি।
বারাকপুর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনছার বলেন, চেয়ারম্যানের উপর বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়েছে। আমার কিছু করার ছিলো না। আমি সকলকে সামলাতে পারিনি।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার চেয়ারম্যানসহ তার সমর্থকরা ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। তারা আজ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের একত্রে দেখে ভেবেছে আবার হামলা চালাতে পারে। এই ভেবে তারা হামলা চালিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছিল। তবে কোন পক্ষ থানায় মামলা করেনি। আজ চেয়ারম্যান বের হলে ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় বারাকপুর বাজারে দোকান খোলা রাখায় ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকরা। এ সময়ে ৯ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইজনের মাথা ফেটে গিয়েছিল।
ওই দিন আহতরা হলেন, ফল ব্যবসায়ী ইসরাইল (৪২), ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল (৪৭), কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাচ্চু (৩৫), খোল ভুষি ব্যবসায়ী মোজাফ্ফার (৪১), ওষুধ ব্যবসায়ী ডা. আবু জার (৫৫), মুদি ব্যবসায়ী অশোক কুন্ডু (৬৮) ও ছমির (৫৫)। মাথা ফেটে রক্তাক্তরা হলেন, মডার্ন মেডিসিন সেন্টারের মালিক ডা. আফিউর (৫২) ও হাফিজ টেইলার্সের মালিক হাফিজুর (৩৮)।