সোমালিয়ান দস্যুরা এখনও মুক্তিপণ চায়নি: পররাষ্ট্র সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:০৬

সংবাদ সম্মেলনে রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। ছবি- সংগৃহীত
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রুকে উদ্ধার করা বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। তিনি জানান, ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন। তবে এখনও জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি এবং তারা এখনও কোনো দাবি–দাওয়া জানায়নি।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ এবং বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারে করণীয় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুরে ব্রিফিং করেন খুরশেদ আলম।
আইনগতভাবে উপকূল থেকে ২০০ মাইল দূরে সমুদ্রে ডাকাতি হলে তাকে জলদস্যুতা বলে জানিয়ে তিনি বলেন, উপকূল থেকে ৫৭৫ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে বাংলাদেশের জাহাজটি জলদস্যুরা আটক করে।
তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে কিছু অঞ্চল ভাগ করা রয়েছে। কোনোটি কম ঝুঁকিপূর্ণ, কোনোটি আবার অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের জাহাজটি অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরে দিয়েই যাচ্ছিল।
তিনি জানান, জলদস্যুরা জাহাজটি আটক করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যায় এবং আজ ভোর পর্যন্ত তারা সোমালিয়ার কাছাকাছিই রয়েছে।
খুরশেদ আলম বলেন, এখনও জলদস্যুদের সঙ্গে সরকারের সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে এ ধরনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে জাহান মনি জাহাজটিকে ১০০ দিনের মাথায় ছাড়িয়ে এনেছিলাম। আর মালয়েশিয়ান একটি জাহাজে আটক ৭ বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে আনতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে ৩ বছর।
নৌবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, এমভি আবদুল্লার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষসহ সরকার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশ এখনও জলদস্যুদের দাবি–দাওয়া সম্পর্কে অবগত নয়।
জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি। মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও করেনি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছে।