Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৮

এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে জলদস্যুরা।

নাবিকদের বরাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জিম্মি  জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন নাবিকেরা।

এর আগে, ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণত জাহাজে হিমায়িত ও শুকনো দুই ধরনের খাবার থাকে। যাত্রাপথে কত দিন সময় লাগবে, তার ওপর নির্ভর করে জাহাজে খাবার রাখা হয়। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত থাকে। জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

জিম্মি জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে জাহাজের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা। অর্থাৎ সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন তারা।

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল এবং ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকেরা জানিয়েছিলেন। 

তারা বলেছিলেন, তবে রেশনিং করলে অনেক দিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে এখন শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকরা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫