
মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বিভিন্ন পোশাকের সমাহারে। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাজধানীতে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নগরীর মার্কেট কিংবা ফুটপাত কোনো জায়গাতেই যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিভিন্ন শপিংমল ও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় জমজমাট নগরীর ঈদের বাজার। শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত সব শ্রেণীপেশার মানুষ।
মার্কেট ও শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতেও ধুম লেগেছে ঈদ কেনাকাটার। তবে বরাবরের মতোই দাম বেশি চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে সাজানো হয়েছে পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, টিশার্ট, গেঞ্জি, শাড়ি, থ্রি-পিস, শিশুদের পোশাক, টুপিসহ বিভিন্ন পোশাকের সমাহার।
নজরকাড়া ডিজাইন ও রকমারি পোশাক স্থান পেয়েছে মার্কেটগুলোতে। জুতা কিংবা কসমেটিকসের দোকানেও রয়েছে বাড়তি ভিড়।
ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদের। তাই বিক্রেতারাও বেশ খুশি। শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। আবার ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় অন্য দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
অধিকাংশ মানুষই এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। কেউ শার্ট, কেউ পাঞ্জাবি, কেউ থ্রি-পিস, কেউ শাড়ি, কেউ জুতা কিংবা প্রসাধনীর দরদাম করছেন, কিনেও নিচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ ঘরের জিনিসপত্রও কিনে নিচ্ছে বিভিন্ন দোকান থেকে। এবারও ঈদ বাজারে বিভিন্ন পোশাকের দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
নিউমার্কেটে কথা হয় কলেজছাত্রী মারুফা খাতুন সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেক বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। গত বছর থ্রি-পিস এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া গেছে, এবার সেই থ্রি-পিসের দাম দুই হাজার টাকার বেশি। অন্য কাপড়েরও দাম বেড়েছে।
যাত্রাবাড়ীতে আলেয়া বেগম নামের এক গৃহিণী করবী বেগম বলেন, ছোট মেয়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে একটি আলিয়াকাট নিয়েছে। অথচ এ ধরনের ড্রেস গত বছর দুই হাজার টাকার মধ্যেই ছিল। বড় মেয়ে একটি থ্রি-পিস নিয়েছে। এটারও দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, দেশে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। জামা-কাপড় এর বাইরে নয়। পাইকারিতে দাম বেড়েছে বলে খুচরায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শনির আখড়ার বিক্রেতা আওয়াল মিয়া বলেন, সবকিছুরই তো দাম বেড়েছে। আমাদেরকে পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। এজন্য একটু বেশি দামেই বিক্রি করছি।
প্রসঙ্গত, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও তার প্রতিবেশী অনেক দেশে আগামী ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন আগামী ১১ এপ্রিল ধরা হচ্ছে।