বাতিল করা হবে টাকা দিয়ে কেনা সনদ, প্রস্তুত হচ্ছে তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ২০:৫৫

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অর্থের বিনিময়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন তিনি। এই কাজে শামসুজ্জামান ছাড়াও বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারাও জড়িত।
আজ শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার শামসুজ্জামানসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে টাকার বিনিময়ে সনদ ও মার্কশিট বিক্রি করেছেন। কীভাবে সেসব সনদ শনাক্ত করা যায় জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান আমাদের সেই তথ্য দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে আমার বোর্ডের কাছে দেবো। তারা সেগুলো বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ডিবি প্রধান জানান, শামসুজ্জামান পাঁচ হাজার মানুষকে জাল সনদ দিয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা সনদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি। যার মাধ্যমে সনদ শনাক্ত করে সেগুলো বাতিল করা যাবে। আমরা এসব তথ্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবো। সেই সঙ্গে বুয়েটের এক্সপার্টদের যুক্ত করে এই কাজটি কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ১ এপ্রিল বিপুল পরিমাণ অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনার পর তাকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এক বিবৃতিতে জানায়, প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে সরকারি চাকুরির আইন ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা মোতাবেক বোর্ডের চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং এ আদেশ সোমবার (১ এপ্রিল) হতে কার্যকর হবে।