Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

গণহারে করোনা টেস্টের পরামর্শ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০, ১৯:০০

গণহারে করোনা টেস্টের পরামর্শ

উপসর্গহীন করোনা দেশে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাই পরীক্ষা ছাড়া কোন উপায় নেই। আমাদের বেশি বেশি করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। কোন এলাকায় একজন করোনার পজিটিভ হলে এর আশেপাশের সবার উচিত হবে করোনার পরীক্ষা করানো।

দেশের বিশিষ্ট  ভাইরোলজিস্ট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ( বিএসএমএমইউ) এর সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, যে কোন ভাইরাস উপসর্গ ও উপসর্গহীন দুভাবেই প্রকাশ পেতে পারে। উপসর্গহীন ভাইরাস ছড়াবে মারাত্মকভাবে। এজন্য বেশি বেশি পরীক্ষা করাতে হবে। কোন এলাকায় একজন পজিটিভ হলে এর আশপাশের সবার উচিত হবে পরীক্ষা করানো। লকডাউন বাড়াতে হবে বলে তিনি পরামর্শ  দেন।

শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম এবং আগের থেকে জটিল রোগ রয়েছে তাদের মধ্যে লক্ষণহীন করোনাভাইরাস দেখা দিতে পারে। তবে বেশির ভাগই  উপসর্গ নিয়ে প্রকাশ পায় ভাইরাস।
এ মুহূর্তে উপসর্গহীন রোগীর কারণে উদ্বেগও বাড়ছে।

এ অবস্থায় শুধু উপসর্গের ওপর নির্ভর করে করোনা সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত করার আর সময় নেই। এখন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণহারে পরীক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর সরকারও সে কাজই করছে। দেশের ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে সরকার করোনার নমুনা সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে।

উপসর্গহীন রোগ থাকলে সেটা চিহ্নিত করাও খুবই কঠিন। কারণ করোনার চিকিৎসা না থাকায় অনেকেই এই রোগের নমুনা দিতে চাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন, করোনা হলে শেষ পরিণতি মৃত্যু। আর এ কারণে ফার্মেসি থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সর্দি-জ্বরের ওষুধ কিনে খেয়ে নিচ্ছেন।

ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফরে শামান গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই ৮৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন সংক্রমিতরা এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেবেন। তার গবেষণাপত্রে সতর্ক করা হয়েছে এমন নীরব সংক্রামকদের ব্যাপারে।

তিনি ওই গবেষণায় বলেছেন, এমন অনেক সংক্রমিত রয়েছেন যাদের কোনো উপসর্গ নেই। আবার, এমনও পেয়েছেন যাদের সব উপসর্গ আছে কিন্তু সংক্রমণ নেই। কেউ সংক্রমিত হলে তার শরীরে লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ওই ব্যক্তি অনেক মানুষকে সংক্রমিত করে ফেলার আশঙ্কা আছে। তাই শুধু সংক্রমিতদের ঘরে রাখলে চলবে না। সবাইকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা হচ্ছে উপসর্গহীন করোনাভাইরাসের একটি ঘটনা। এ ধরনের ক্ষেত্রে, চারপাশে কে এই রোগের বাহক তা জানা অসম্ভব। তারা আরো আশঙ্কা করেন যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সারাদেশ জুড়ে বেড়ে যাওয়ার ফলে উপসর্গহীন এমন রোগীর সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে চলেছে।

বিএসএমএমইউ'র অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান জানান, প্রায় ৩০ শতাংশ সংক্রমিত থাকতে পারেন যাদের কোনো উপসর্গ দেখা যাবে না। উপসর্গহীন রোগীরা ভাইরাসটি বেশি ছড়াবে। এজন্য বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন, কেউ যদি করোনার রোগীর কন্টাক্টে আসে তাহলে ৬/৭ দিন সময়  লাগে ভাইরাস প্রকাশ পেতে। কন্টাক্টে এসেছেন এমন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের পরীক্ষা করাচ্ছেন তাদের হাসপাতালে। সন্দেহ থাকলে তাদের  চিকিৎসা দিয়ে দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, সাধারণত কম বয়সীরাই উপসর্গহীন বাহক হয়, তবে বয়স্করাও হতে পারেন। যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমিতদের মধ্যে ২৫ শতাংশের কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫