উপজেলা নির্বাচন
ভোটের ২০ দিন পর আলমারিতে মিলল ২১শ ব্যালট পেপার

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১৭:৪৪

প্রথমধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ২০ দিন পর গতকাল বুধবার (২৯ মে) জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আকলাস শিবপুর-শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি আলমারি থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ২০ দিন পর একটি কেন্দ্রের আলমারি থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ মে) জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আকলাস শিবপুর-শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ২১টি বইয়ের ব্যালট পেপার উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার আকলাস শিবপুর-শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি স্টিলের আলমারি খোলা হয়। অফিস সহায়ক সেখানে একটি বস্তা দেখে এর ভেতর ব্যালট পেপারগুলো দেখেন। তখন তিনি প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানকে বিষয়টি জানান। পরে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানান নির্বাচন কর্মকর্তাকে।
নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যালট পেপারগুলো পিয়নের মাধ্যমে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে বললে প্রধান শিক্ষক ইউএনও আফতাবুজ্জামান আল ইমরানকে বিষয়টি জানান। পরে ইউএনও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে ব্যালট পেপারগুলো নির্বাচন অফিসে জমা দিতে বলেন। গত বুধবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানজির আহমেদ সাকিব প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান বলেন, ভোটের পর বিদ্যালয় চালু থাকলেও আলমারি খোলা হয়নি। গত মঙ্গলবার (২৮ মে) আলমারি খোলার পর ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়ার প্রমাণ রেখেছেন তারা।
এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানজির আহমেদ সাকিব জানান, ভোট গণনার পর কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে যান তিনি। সেদিন তাড়াহুড়া করে কেন্দ্র থেকে আসার কারণে ব্যালটগুলো নেওয়ার কথা ভুলে যান। এটি তাঁর ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন বলেন, ভোট গ্রহণে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বুধবার ২ হাজার ১০০ পাতা ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোট গ্রহণ শেষেই এসব বুঝিয়ে দিতে হয়। কেন এমনটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন্দ্রটিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব। কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭ জন। তিনটি পদের প্রার্থীদের পক্ষে দেওয়া ভোটের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৭টি। সে হিসাবে তিনটি পদের বিপরীতে সাতটি করে বইয়ের ২ হাজার ১০০ পাতা ব্যালট অব্যবহৃত থাকার কথা।
ইউএনও আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, অব্যবহৃত ব্যালট পেপার পাওয়ার কথা জানার পরই সেগুলো নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।