ট্রান্সকম গ্রুপের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের মৃত্যুর অভিযোগে করা হত্যা মামলায় এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ সাতজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্তরা জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন গ্রপের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, গ্রুপটির কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এরপর তারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আজকের দিন রাখেন। এদিন তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।’
গত ২২ মার্চ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বড় বোন ও গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন শাযরেহ হক।
মামলায় শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অন্য ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে কৌশলে বিষ প্রয়োগ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে সিমিন রহমানসহ অন্যদের আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে।
২০২৩ সালের ১৬ জুন গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান।
এদিকে, এদিন জাল জালিয়াতির পৃথক দুই মামলায় একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান।