কুমিল্লার হায়দ্রাবাদ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত আনোয়ারের মরদেহ হস্তান্তর করছে বিএসএফ। গতকাল রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ভারতের নগর এলাকা কলসীমোড়া বিএসএফ ক্যাম্প দিয়ে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার উপস্থিত থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছে তুলে দেন।

এর আগে গতকাল রবিবার সকাল  ৮টায় বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জামতলা ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার নামে ওই বাংলাদেশি নিহত হন। বাংলাদেশ-ভারতের ২০৬৫ (৮এস) নম্বর পিলার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন (৫০) বুড়িচং উপজেলার মিরপুর গ্রামের চারু মিয়ার ছেলে।

বিজিবি ৬০ এর অধিনায়ক এএম জাবের বিন জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, সকালে আনোয়ার হোসেন ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিএসএফ ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, স্থানীয়দের বরাতে বিজিবি জানতে পেরেছেন নিহত আনোয়ার ভারত থেকে চোরাইপথে আনা চিনি বহনকারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

সবশেষ দুপুরে ঘটনাস্থল জামতলা এালাকায় বিজিবি ও বিএসএফ ই-কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয় কলসীমোড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে সীমান্তে বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরে বুড়িচং উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নিহত আনোয়ারের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

২নং বাকশিমুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল করিম জানান, নিহত আনোয়ার চিনি চোরাচালানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রবিবার সকালেও সে চিনি আনতে জামতলা যায়। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।