
যশোর জেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে লকডাউন বলবত হবে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত চলবে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভা রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। সভায় অংশ নেন, যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, করোনা সংক্রান্ত সেনা তৎপরতায় যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নিয়ামুল, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীলিপকুমার রায়সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভা সূত্র জানায়, সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য করণীয় হিসেবে জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পক্ষে মতামত দেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সভায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক বলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা আগামীকাল সোমবার ভোর ছয়টা থেকে কার্যকর হবে। লকডাউনের আওতায় থাকবে গোটা যশোর জেলা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সেই কারণে আরো কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে জেলা লকডাউন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবত থাকবে। তবে, জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, কৃষি সংক্রান্ত (সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান) ফুয়েল স্টেশন প্রভৃতি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।