
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে (উত্তর ও দক্ষিণ) আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে (উত্তর ও দক্ষিণ) আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বেলা দুইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা দুই সিটির মেয়ররা।
সোমবার দুপুর দুইটার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এক নম্বর ফটকের বিপরীত পাশে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে থেকে পরিচালিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় দক্ষিণ সিটির সব অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনলাইনে যুক্ত হন। দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, মেয়র তাপস দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ কাজের নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন।
সকালে ঈদের জামাতের পর থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে দুই সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ভ্যান সার্ভিসের কর্মীরা।
বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, দুপুর ২টার আগেই দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি পরিষ্কার নগরী উপহার দেবে ডিএসসিসি। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কমিশনাররা মাঠে নেমে গেছেন। সবাইকে নিয়ে খুব দ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব
বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঘোষণা দিয়েছিলাম, ছয় ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে অনেক ওয়ার্ডে নির্ধারিত জায়গায় পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এভাবে কোরবানি দিলে বর্জ্য অপসারণের কাজটি সহজ ও দ্রুত হয়। তাই যেসব এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে একই স্থানে কোরবানি দেয়া হয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আগামী বছর থেকে যে ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি একই স্থানে কোরবানি দেয়া হবে, ওই ওয়ার্ডকে পুরস্কৃত করা হবে।
দক্ষিণ সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনসংযোগ বিভাগ জানায়, বর্জ্য অপসারণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার আগেই তাদের আওতাধীন এক নম্বর ওয়ার্ড (খিলগাঁও এলাকা) শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে। ওই ওয়ার্ডে সকাল ১০টায় বর্জ্য অপসারণকাজ শুরু হয়।
এদিকে দুই সিটিতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছেন। দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকায় বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন ১০ হাজার ২৫৭ জন কর্মী। আর উত্তর সিটির আওতাধীন এলাকায় এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ কর্মী।
দক্ষিণ সিটিতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হল থেকে এ নিয়ন্ত্রণকক্ষ পরিচালিত হচ্ছে হবে। বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণ না হলে বাসিন্দারা নিয়ন্ত্রণকক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও ০২২২৩৩৮৬০১৪ নম্বরে ফোন করে তথ্য ও অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষও। বাসিন্দারা বর্জ্য অপসারণকাজ নিয়ে যেকোনো তথ্য কিংবা অভিযোগ সিটি করপোরেশনের ১৬১০৬ নম্বরে কল করে জানাতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়ার্ড ও অঞ্চলভিত্তিক তদারকি দলও গঠন করা হয়েছে।