কিমার যন্ত্র দিয়ে কুচিকুচি করা হয় আনারের দেহ: সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ১৪:০৭

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে গিয়ে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ কুচি-কুচি করতে কিমার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিলো বলে দাবি করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।
তদন্তকারীদের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় আটক সিয়াম হোসেন কলকাতার নিউ মার্কেটের একটি দোকান থেকে ২২০০ টাকা দিয়ে ওই যন্ত্র কিনেছিলেন। প্রমাণ লুকানোর জন্যই কিমা করার ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিলো বলে ওই সূত্রের দাবি।
সিআইডির একাংশ এ-ও দাবি করেছে যে, ওই যন্ত্রে পুরো মাংস কিমা করা যায়নি। তাই ছোট ছোট খণ্ড করে তা ফেলা হয়েছিলো নিউ টাউনের ওই ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কে। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় পাঁচ কেজি মাংসখণ্ড উদ্ধারও করেছে সিআইডি। সেগুলি মানুষের কি না, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খুনের পর এমপি আনারের দেহের ছবি তুলে তা বাংলাদেশের কয়েক জনকে পাঠিয়েছিলো ঘাতক আমানুল্লাহ। মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য কিমা এবং খণ্ড করা মাংস সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার পর হাড়গুলি ফেলা হয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে।
তদন্ত চালাতে গিয়ে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি ওই স্থান থেকে মানুষের হাড় উদ্ধার করেছে। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে কলকাতায় গিয়েছিলেন আনার। ১৩ মে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নিউ টাউনের ওই ফ্লাটে খুন হয়েছেন তিনি। দেশটির সিআইডি তদন্তে নেমে প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক কসাই জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয় আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান-সহ চার জনকে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী এবং এমপির বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর পলাতক।