
বান্দরবানে থানচি উপজেলা সদরে একমাত্র বাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ২০০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল।
তিনি জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে। এর আশপাশে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় বাজারে ২০০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
বাজারে বেশির ভাগ দোকান বাঁশ এবং শনের তৈরি হওয়ায় দ্রুত পুড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাজারে পাইকার ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, আগুনে তার গুদামে সব মালামাল পুড়ে গেছে। শুধু নগদ কিছু টাকা বের করে নিতে পেরেছেন। তার দাবি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।
একটি ফার্মেসি ও একটি ভাতের দোকান রয়েছে উচাইসা মারমা। তিনি জানান, ফার্মেসী দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভাতের দোকান থেকে কিছু জিনিস বের করে আনতে পেরেছেন। তবুও দুই দোকান মিলে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা সদরে বাস ষ্টেশনের পাশে একটি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন থাকলেও তিন বছরেও চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা ও স্থানীয় বাসিন্দা মংসিংহাই মারমা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারলে এতো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সাঙ্গু নদীর পানি ও বাজারে পাশে একটা পুকুরও ছিলো। এতো সুন্দর পানির ব্যবস্থা থাকার সত্ত্বেও বিশাল ক্ষতি মেনে নেয়া যায় না।
এর আগেও তিনবারের মত বাজার পুড়েছে। কিন্তু এবারের মত এতো বড় ক্ষতি হয়নি। উপজেলার তিন ইউনিয়ন সদর, তিন্দু ও রেমাক্রি বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ছিলো এই থানচি বাজার।
শহর থেকে থানচির দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার জানিয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার শাকরিয়া হায়দার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বান্দরবান শহর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট সেখানে কাজ করতে যায়।
কিন্তু পাহাড়ি এলাকা ও দূরত্ব হওয়ায় ততোক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে বাজারে জনপ্রিয় হোটেল নামে একটি দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান তিনি।